Header Ads

Header ADS

প্রথম ‘মানব পরীক্ষা’ চালালো ভার্জিন হাইপারলুপ

 বিশ্বে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে মানব যাত্রী নিয়ে যাত্রা শেষ করেছে ভবিষ্যত প্রজন্মের দ্রুতগতির যাতায়াত ব্যবস্থা ভার্জিন হাইপারলুপ।

এই যাতায়াত ব্যবস্থায় ভাসমান পডের মাধ্যমে যাত্রী বহনের কথা রোববার নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন হাইপারলুপ নামের প্রতিষ্ঠানটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এই পরীক্ষাকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হিসেবে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মানব এবং কার্গো পরিবহনে এই প্রযুক্তি অভাবনীয় রূপান্তর আনবে বলে ধারণা করছে ভার্জিন হাইপারলুপ।

প্রতিষ্ঠানটি’র দাবি, নেভাডার লাস ভেগাসে প্রতিষ্ঠানের ডেভলুপ পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৭২ কিলোমিটার বেগে যাত্রা করতে পেরেছেন প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা জশ জিগেল এবং যাত্রী অভিজ্ঞতা বিভাগের পরিচালক সারা লুচেইন।

ভার্জিন হাইপারলুপ চেয়ারম্যান এবং গ্রুপ চেয়ারম্যান এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রধান নির্বাহী সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম বলেছেন, “নিজের চোখের সামনে ইতিহাস রচনা দেখার সত্যিকার প্রশান্তি আমি পেয়েছি।

বায়ুশূন্য টিউবের মধ্য দিয়ে ভাসমান পডের মাধ্যমে ঘন্টায় ৯৬৬ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিতে যাত্রী ও কার্গো পরিবহনের লক্ষ্য রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস-ভিত্তিক হাইপারলুপের।

প্রায় নীরব এই যাতায়াত ব্যবস্থায় নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে যাতায়াতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। বাণিজ্যিক ফ্লাইটের চেয়ে দ্বিগুণ এবং দ্রুতগতির ট্রেনের চেয়ে চার গুণ গতিতে যাতায়াত করা যাবে হাইপারলুপে।

এর আগে নেভাডায় মানব যাত্রী ছাড়া চারশ’র বেশি পরীক্ষা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২৫ সালের মধ্যে নিরাপত্তা সনদ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে কাজ করছে ভার্জিন হাইপারলুপ।


No comments

Powered by Blogger.